-মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এডভোকেট

উখিয়া উপজেলা পরিষদের প্রথম চেয়ারম্যান জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী আমার সহপাঠী। আত্বীয়তার সম্পর্কে তিনি আমার মামা, আমি তাঁর ভাগ্নে। আমাদের মধ্যে পরস্পর সুসম্পর্ক বিদ্যামান।

চলিত এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী আমাকে ফোন করে জানান যে, কোটবাজার এলাকায় তারা একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং ঐ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভার জন্য ১০/৪/১৭ইং তারিখকে সভার দিন, এবং রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ ভবনকে সভার স্থান নির্ধারণ করেছেন। তিনি আমাকে ঐকান্তিকভাবে অনুরোধ করলেন যেন আমি ঐ সভায় উপস্থিত থাকি। এর পর তিনি ২/৩বার ফোন করে সভার দিন ও স্থান সম্পর্কে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এবং আমার উপস্থিতির জন্য তাগিদ দিয়েছেন। কলেজ প্রতিষ্ঠায় তাঁর ঐক্যান্তিক আগ্রহের জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জানাই এবং সভায় উপস্থিত থাকার নিশ্চয়তা দেই।

দু:খজনক হলেও সত্য যে, আমি আমার আইন পেশার ব্যস্ততার কারণে সামাজিক কর্মকান্ডের অনুষ্ঠানে, যোগদান করতে পারি না বললেই চলে। তবুও মামা জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীর আহবানে সাড়া দিয়ে ১০/০৪/১৭ইং তারিখের নির্ধারিত সভায় আমিও উপস্থিত হই। সভায় এলাকার অনেক গণ্যমান্য মুরুব্বী লোক, সম্মানিত জনপ্রতিনিধি ও উদ্যমী যুবক উপস্থিত হন।

সভা শুরুর পর আলোচনা থেকে বুঝতে পারি যে, ঐ সভার আগেও তারা (জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী, জনাব খাইরুল আলম চৌধুরী, জনাব মাস্টার কামাল উদ্দীন, জনাব নুরুল হুদা, জনাব জসিম আজাদ, জনাব নুরুল আলম, জনাব এড. আমির তাহের উদ্দিন মানিক) কলেজ প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পরস্পর আলোচনা করেছেন এবং প্রস্তাবিত কলেজের একটি নামও তারা নির্ধারণ করেছেন- ‘পালং কলেজ’। সভার আলোচনায় জানা যায় যে, কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক শর্ত হল- কলেজ প্রাঙ্গনের জন্য এক একর জমির রেজি:কৃত দানপত্র দলিল কলেজের নামে থাকা এবং ঐ জমিতে কলেজ ভবন, প্রাঙ্গন ইত্যাদি স্থাপন করা।

যেহেতু সভায় উপস্থিত সকলের মধ্যে জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীই সর্বাপেক্ষা বেশী জমিজমার মালিক, সেহেতু উপস্থিত প্রায়ই সকলেই কলেজ প্রাঙ্গনের জন্য এক একর জমি এককভাবে দানের জন্য জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীর কাছে আবদার করেন। তিনিও ঐ আবদার রক্ষা করেন এবং নিজে এককভাবে এক একর জমি প্রস্তাবিত কলেজকে দানের ঘোষনা দেন। সভায় জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীর প্রতিশ্রুত দানের জমিতে কলেজ প্রতিষ্ঠার এবং তাঁকে প্রস্তাবিত কলেজের ‘প্রতিষ্ঠাতা’ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

উক্তরূপে প্রস্তাবিত কলেজের জন্য প্রয়োজনীয় জমির সংস্থান হলেও, যেহেতু কলেজ, প্রতিষ্ঠার এবং পরিচালনার অন্যান্য ব্যয় নির্বাহের জন্য সঞ্চিত তহবিল নেই, সেহেতু আগ্রহী সহযোগিদের অনুদান প্রত্যাশা করা হয় এবং সভায় উপস্থিত ব্যক্তিদের স্বেচ্ছা অনুদানের ঘোষণা আহবান করা হয়। রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব খাইরুল আলম চৌধুরী ৮০ (আশি) শতক জমি (যেখানে তাঁর জমি আছে সেখান থেকে) মাষ্টার কামাল উদ্দিন ১০ (দশ) শতক, জমি (যেখানে তাঁর জমি আছে সেখান থেকে) কলেজকে দানের ঘোষণা দেন। ঘোষণায় আমার পালা আসলে আমিও ২০ (বিশ) শতক জমি (যেখানে আমার জমি আছে সেখান থেকে) কলেজকে দানের ঘোষণা দেই। উপস্থিত অনেকেই তাদের সাধ্যমত আর্থিক অনুদানের ঘোষণা দেন।

এভাবে প্রস্তাবিত কলেজ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম আগায়। এতে খুশী হয়ে ফেইসবুক বন্ধুরা নিজ নিজ ফেইসবুকে পছন্দমত ষ্ট্যাটাস দেওয়া শুরু করেন, প্রস্তাবিত কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান, আমরা ও কিছু জমি কলেজকে দানের ঘোষণা দেওয়ায় আমাদেরকেও অনেকে ধন্যবাদ জানান। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।

প্রস্তাবিত কলেজ বাস্তবায়ন কমিটির পরবর্তী সভা গত ১৩/৪/১৭ ইং তারিখে, রত্নাপালং ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে পুনরায় অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিগত এস,এস,সি পরীক্ষা দেওয়া, ফল প্রত্যাশী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রস্তাবিত কলেজে ভর্তি করানোর লক্ষ্যে কলেজ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম তরান্বিত করার, কলেজ গৃহ নির্মাণ করার তজ্জন্য জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীর প্রতিশ্রুত জমিকে কলেজ ভবন নির্মানোপযোগী করার বিষয় আলোচিত হয়। আলোচনায় উঠে আসে যে, জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীর এলাকাটি অপেক্ষাকৃত নীচু এলাকা যা বর্ষাকালে বন্যা কবলিত হয় এবং অতি বর্ষনে রাস্তা ঘাট ডুবে যায়। কলেজের জন্য জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীর প্রতিশ্রুত এক একর জমিকে কলেজ ভবন নির্মানোপযোগী করতে ও বন্যার কবলমুক্ত রাখতে এক একর জমিতে আনুমানিক ৭০/৮০ লক্ষ টাকার মাটি ভরাটের প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়। ঐ জমিতে কলেজ স্থাপন করা সাধ্যাতীত ব্যয় বহুল সাব্যস্থ হয়। ফলে প্রস্তাবিত কলেজের স্থান পরিবর্তন প্রয়োজন হয় এবং বিকল্প স্থান খোঁজা হয়।

রতœাপালং ইউনিয় পরিষদের পাশে আমার এক খন্ড জমি আছে। উপস্থিত সভার সকলে প্রস্তাবিত কলেজ স্থাপনের জন্য আমার জমিটি পছন্দ করেন এবং কলেজ স্থাপনের প্রয়োজনমত ঐ স্থানের এক একর জমি কলেজকে দান করার জন্য সকলে আমাকে অনুরোধ করেন। আমি আমার পূর্ব ঘোষণামতে ঐ স্থানের ২০ (বিশ) শতক জমি কলেজকে নিজে দান করার এবং কলেজের প্রয়োজনীয় আর ৮০ (আশি) শতক জমি হস্তান্তরের মাধ্যমে অন্য আগ্রহী ব্যক্তিকে দানের সুযোগ দেওয়ার প্রস্তাব করি। উপস্থিত সকলে যুক্তি দেন যে, যেহেতু প্রস্তাবিত কলেজের জন্য সঞ্চিত তহবিল নেই, তাই কলেজ স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ২ (আড়াই) কানি জমি আমি একা দান করলে, এবং আগ্রহী অন্য দাতাগণের অনুদান পরবর্তী কার্যক্রমে ব্যয় করতে পারলে কলেজ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে। ঐ যুক্তিতে উপস্থিত জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী উখিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জনাব সুলতান মাহমুদ চৌধুরী রতœাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জনাব খাইরুল আলম চৌধুরী, জালিয়াপালং ইউপি চেয়ারম্যান জনাব নুরুল আমিন চৌধুরী, হলদিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান জনাব অধ্যক্ষ শাহ আলম আওয়ামীলীগ নেতা জনাব আবুল মনছুর চৌধুরী আওয়ামীলীগ নেতা জনাব নুরুল হুদা সহ উপস্থিত প্রায়ই সকলে উক্ত ২ (আড়াই) কানি জমি প্রস্তাবিত কলেজকে আমি একা দান করার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন।

প্রয়োজনীয় তহবিলের অভাবে এলাকার Crying need, একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের মহৎ উদ্যোগ থেমে যাবে আশংকায় এবং এলাকাবাসী একটি কলেজ পাবার সুযোগ হতে বঞ্চিত হবেন আশংকায় আমি জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী সহ উপস্থিত সকলের অনুরোধে সাড়া দেই এবং কলেজ স্থাপনের জন্য তাদের পছন্দ করা আমার ২ (আড়াই) কানি জমি কলেজকে আমি একা দান করার সম্মতি দেই। আমি তাদেরকে জানাই যে, আমার জমি সংক্রান্ত নামজারী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কলেজকে জমি দান করতে আমার কিছুদিন সময় লাগবে। ঐ সময়টা আমাকে দিতে হবে। আমি আরও প্রস্তাব করি যে, বিগত এস, এস,সি পরীক্ষা দেওয়া ফল প্রত্যাশী ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রস্তাবিত কলেজে এ বছর ভর্তি করানোর লক্ষ্য বাদ দিয়ে, আগামী বছরের এস, এস, সি পরীক্ষা পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীদেরকে প্রস্তাবিত কলেজে ভর্তি করানোর লক্ষ্য নিয়ে ধীরে সুস্থে slow and steady wins the race নিয়মে অগ্রসর হওয়া ভাল হবে। কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য জমি দান করতে আমার সম্মতিতে উপস্থিত উদ্যোগক্তাগণ যারপর নাই সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য তাদের অকৃত্রিম আগ্রহে আমি অভিভূত হয়েছি।

উক্তমতে সভা শেষ হওয়ার পরবর্তীতে লক্ষ্য করা যায় যে, ফেইসবুক বন্ধুদের অনেকে নিজ নিজ ফেইসবুকে নিজদের পছন্দমত ষ্ট্যাটাস দেওয়া শুরু করেছেন। অনেকে আমাকে এবং আমার পরিবারকে ‘মহান’ রূপে চিহ্নিত করার ও চেষ্টা করেছেন। আমি বুঝতে পারি যে, তাদের এরূপ ষ্ট্যাটাস, কলেজ প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনায় তাদের আনন্দেরই বহিঃপ্রকাশ। অনেকের ষ্ট্যাটাস, আমার প্রতি তাদের অন্ধ ভালবাসার বহিঃ প্রকাশ ও হতে পারে। আমি বিনয়ের সঙ্গে বলতে চাই যে আমার ও আমার পরিবার সম্পর্কে এত উচ্চ প্রচারণার আমি বিব্রত বোধ করছি। কেহ কেহ ফেইসবুকে আমার জীবনীও উল্লেখ করেছেন। যেন আমি দিগবিজয়ী কোন নায়ক। অনুগ্রহ পূর্বক খেয়াল করুন- যে কাজটি করব বলেছি, তা এখনও করা হয়নি। আগে কাজটি করতে দিন। লক্ষ্য করুন-জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরী, জনাব খাইরুল আলম চৌধুরী, জনাব সুলতান মাহমুদ চৌধুরী, জনাব নুরুল আমিন চৌধুরী, জনাব অধ্যক্ষ শাহ আলম, জনাব আবুল মনসুর চৌধুরী ও জনাব নুরুল হুদা সহ অন্যান্য ভদ্র মহোদয়গণ এবং উদ্যমী যুবকগণ কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগটা না নিলে, আমি প্রস্তাবিত কলেজকে জমি দান করার সুযোগই পেতাম না। এ জন্য তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। প্রস্তাবিত কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলে উদ্যোগতাদের প্রশংসা করুন। কলেজকে জমি দান করলেই কলেজ প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় না। একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় জমি দানের পরবর্তী দায়িত্ব পালন করতে না পারলে কলেজ হবে না। ঐ দায়িত্ব পালনের আর্থিক সামর্থ এবং মানসিক, বুদ্ধিভিত্তিক ও যোগাযোগ দক্ষতা আমার নেই। আমর পেশাগত ব্যস্ততার কারণে ঐ কাজে সময় দেবার সুযোগও নেই। ঐ বিশাল দায়িত্ব পালন করা কারও একার পক্ষে কিংবা কয়েকজনের পক্ষে সম্ভব নয়, তা শোভনও নয়। কলেজ একটি বৃহৎ এবং সার্বজনীন প্রতিষ্ঠান। কলেজের প্রতিষ্ঠা, টিকে থাকা এবং সাফল্যের জন্য, দেশের সকল দলের ও মতের মানুষের নেতৃবৃন্দের জনপ্রতিনিধিগণের, প্রশাসনের , সর্বোপরি স্থানীয় মাননীয় সাংসদের সমর্থন, সহযোগীতা ও সাহায্য একান্তই দরকার।

কোন প্রতিষ্ঠানে ২ (আড়াই) কানি জমি এককভাবে দান করার মত তেমন সম্পদশালী লোক আমি নই। রত্মা পালং ইউনিয়ন পরিষদের পাশের জমিটি আমার কষ্টের অর্জন। আমি আমার মরহুম পিতামহ আলহাজ্ব নছরত আলী সর্দার এর পরম স্নেহভাজন জৈষ্ঠ্য নাতি। আমার পড়া লেখার ব্যয় নির্বাহের জন্য তার জমি জমা হতে বিশেষভাবে বরাদ্দ রাখা জমির আয়ের টাকা ব্যয়ে আমি পড়ালেখা করেছি। তার প্রতি আমি বিশেষ কৃতজ্ঞতায় আবদ্ধ আছি। তিনি তার ক্ষুদ্র সামর্থ্য মত উচ্চ বিদ্যালয়ে, প্রাথমিক বিদ্যায়ে মসজিদে, মক্তবে, গরীব লোকদের বাড়ি ভিটায়, পুকুরে যৎসামান্য জমি জমা দান করে গেছেন। তার দান দেখে আমি প্রাতিষ্ঠানিক দানের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। তার স্মৃতি রক্ষার্থে তার নামে একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য রতœা পালং ইউনিয়ন পরিষদের পাশের জমিটি সংরক্ষিত রেখেছি। এ বিষয়টি আমি আমার কয়েকজন সুহৃদ ব্যক্তির (যেমন-মাননীয় ক্যাবিনেট সেক্রেটারীর বড় ভাই ফরিদ আহমদ, মাস্টার নুরুল হাকিম, মাস্টার শামশুদ্দিন মাহমুদ) সাথে পরামর্শও করেছি। পূর্বোক্ত মতে জনাব মাহমুদুল হক চৌধুরীর আহবানে সাড়া দিয়ে অন্য স্থান থেকে ২০ বিশ শতক জমি প্রস্তাবিত কলেজকে দান করার অভিপ্রায় নিয়ে কলেজ প্রতিষ্ঠার সভায় যোগদান করেছি। উপরে বর্ণিত পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বালিকা বিদ্যালয়ের জন্য সংরক্ষিত রাখা জমিটি প্রস্তাবিত কলেজের জন্য পছন্দ করায়, ঐ জমি কলেজকে দান করার অনুরোধে সম্মতি দিয়েছি।

আমি অরাজনৈতিক ব্যক্তি। আমার কোন শত্রু নেই। সবার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ ও স্নেহবোধ আছে। ধারণা করি আমাকেও কেউ শত্রু ভাবেন না। আশা করি যদি শেষ পর্যন্তও জমিটি কলেজকে দান করার সুযোগ পাই, তবে কলেজ বাস্তবায়ন কমিটি আমার দানকে মূল্যায়ন করবেন এবং প্রতিষ্ঠানটিকে সকল প্রকার দলাদলির ও রাজনীতির উর্ধে রেখে সকলকে সম্পৃক্ত করে কলেজটি প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করবেন এবং তাড়াহুড়ো না করে slow and steady wins the race নিয়মে অগ্রসর হবেন। পূর্বেই উল্লেখ করেছি যে, কলেজকে ২০ শতক জমি দান করতে সভায় গিয়ে সভাস্থলের সিদ্ধান্তে ২ (আড়াই) কানি জমি দান করতে সম্মতি দিয়েছি।

এ বিষয়ে আমার অনেক মুরুবী ও শুভাকাংখীর সাথে এমন কি আমার মা বাবার সাথে ও পরামর্শ করার সুযোগ পাইনি। মা বাবাকে পরে জানিয়েছি। তারা খুশি হয়েছেন। আমার অন্যান্য মুুরুবী, বন্ধু-বান্ধব এবং কলেজের শুভাকাংখীগণের সাথে পর্যায়ক্রমে আলাপ পরামর্শ করার আশা রেখেছি। আমি আমার এলাকাবাসীকে দূঢ়তার সহিত আশ্বস্থ করতে চাই যে কোন যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়া অন্য কোন কারণে কলেজকে জমি দান করা হতে বিরত হব না। সবার কাছে দোয়া কামনা করছি।

লেখক- কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জর্জ আদালত, কক্সবাজার। ০১৮১৯৯৪৮০৮৫